অন্তর্মুখী হওয়া ভালো, নাকি বহির্মুখী?

Laura’s avatar
এই প্রবন্ধটি নিজের থেকে AI দ্বারা অনুবাদ করা হয়েছিল। অনুবাদে ভুল বা অসাধারণ বাক্যাংশ থাকতে পারে। আসল ইংরেজি সংস্করণটি এখানে পাওয়া যাবে।

অন্তর্মুখী না বহির্মুখী—কোনটা ভালো? সংক্ষেপে উত্তর হলো: কোনো ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্য—যেমন অন্তর্মুখীত্ব বা বহির্মুখীত্ব—একটি আরেকটির চেয়ে ভালো নয়। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ নয়; এর পেছনে রয়েছে আরও কিছু কারণ।

ভুল ও বিভ্রান্তিকর প্রচলিত ধারা

আপনি হয়তো দেখেছেন, অন্তর্মুখীদের সাধারণত গভীর চিন্তক বা একাকী মানুষ হিসেবে এবং বহির্মুখীদের স্মার্ট কথাবার্তা বলা ব্যক্তি হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়। কিন্তু এসব প্রচলিত ধারা সঠিক নয়। কারণ, অন্তর্মুখীত্ব ও বহির্মুখীত্ব আমাদের সামাজিক দক্ষতা বা আত্মবিশ্বাসের বিষয় নয়—এগুলো আসলে নির্ভর করে আমরা কোথা থেকে শক্তি লাভ করি এবং কীভাবে পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত হই। এর মানে হচ্ছে:

  • যখন অন্তর্মুখীরা ক্লান্ত বা নিস্তেজ বোধ করেন, তখন তারা অতিরিক্ত বাইরের উদ্দীপনা ছাড়া কিছুটা সময় একা কাটাতে চান। এই নিরবতা ও নিঃসঙ্গতার প্রতি স্বাচ্ছন্দ্য তাদের introspective বানাতে পারে—এবং প্রায়ই তা হয়—তবে এতে অন্তর্মুখী হওয়া মানেই যে তারা introspection-এ “বহির্মুখীদের চেয়ে ভালো” হবে, তা নয়। বহির্মুখীরাও খুব আত্মচেতন হতে পারে—তারা শুধু একা থাকার চেয়ে বাইরের উদ্দীপনা ও মানুষের সংস্পর্শ থেকে বেশি শক্তি পান।
  • যখন বহির্মুখীরা নিঃশক্ত বা ক্লান্ত বোধ করেন, তারা সাধারণত নতুন উদ্যম খুঁজতে বাইরের জগতে বেরিয়ে পড়েন। এভাবে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা তাদের অনেক সময় সামাজিকভাবে দক্ষ করে তোলে—এবং প্রায়ই তা হয়—তবে এটি ধরে নেওয়া ঠিক নয় যে বহির্মুখীরাই একমাত্র “সামাজিক” হতে পারে। অন্তর্মুখীরাও অনেক বন্ধুবৎসল ও প্রাণবন্ত হতে পারেন—তারা শুধু আড্ডার পরে একা একটু সময় কাটাতে পছন্দ করেন।

সাংস্কৃতিক অভ্যাস ও নিয়ম

আপনি যে সংস্কৃতিতে বাস করেন, সেখানে কখনও কখনও মনে হতে পারে—অন্তর্মুখী হওয়া সহজ, আবার কোথাও বহির্মুখী হওয়া স্বচ্ছন্দ। যেমন, আপনি যদি বহির্মুখীদের পরিবেশে থাকেন, তবে হয়তো বহির্মুখী হওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ লাগবে, কারণ আপনার স্বভাব ও শক্তির ধরন আশপাশের মানুষের সঙ্গে কাছাকাছি।

তবে সংস্কৃতির নিয়মে খাপ খাওয়ানো যে ভালো, তা জরুরি নয়—অনেক সময় আলাদা হওয়াটাই বাড়তি সুবিধা আনে। তবে, যারা আপনার মতো ব্যক্তিত্বের না, তাদের মাঝে থাকলে মাঝে মাঝে মনে হতে পারে আপনি খানিকটা পিছিয়ে আছেন।

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতার ভূমিকা

অন্তর্মুখীত্ব ও বহির্মুখীত্ব কারো ব্যক্তিত্বের কেবল একটি দিক। তাদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যও আচরণ, চিন্তা ও অনুভূতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, একজন অন্তর্মুখী যদি যুক্তিভিত্তিক বৈশিষ্ট্যধারী হন, তিনি চাকরির সাক্ষাৎকারে একভাবে আচরণ করবেন; অথচ অনুভূতিপ্রবণ অন্তর্মুখী হলে অন্যভাবে।

    কারো ব্যক্তিগত জীবন-অভিজ্ঞতাও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার সফলতার বড় কারণ হতে পারে। যেমন, আগে উল্লেখ করা অন্তর্মুখীদের কেউ যদি নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকতেন, সেই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই তার সাক্ষাৎকারে দেয়া উত্তরকে প্রভাবিত করবে। তাহলে কে ভালো করবে: কোনো নিয়োগ-অভিজ্ঞতা নেই এমন বহির্মুখী, না নিয়োগ-অভিজ্ঞ অন্তর্মুখী? এর নির্দিষ্ট উত্তর নেই।

    এ থেকেই বোঝা যায়, অন্তর্মুখী হওয়া বা বহির্মুখী হওয়া “ভালো”—এ রকম কোনো সহজ সত্য নেই। প্রত্যেক বৈশিষ্ট্যের কিছু শক্তি ও কিছু দুর্বলতা রয়েছে; একটিতে বেশি, একটিতে কম—এভাবে তুলনা করা যায় না। অনেক কিছুই আমাদের ব্যক্তিত্ব নির্ধারণ করে; অন্তর্মুখীত্ব ও বহির্মুখীত্ব সেগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ঠিকই, তবে আমাদের পরিচয়ের মোটেও একমাত্র অংশ নয়।

    এবার করণীয় কী